রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) ।।পটুয়াখালীর কলাপাড়াÑরাঙ্গাবালী উপজেলার রসুলবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান হচ্ছে ছোট দুটি টিনের ঘরে। এক পাশে বেড়া থাকলেও তিন পাশে নেই। চালের ফাঁক দিয়ে উকি দিচ্ছে সূর্য। পড়ছে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের গায়ে। এভাবেই পাঁচটি বছর ধরে ভগ্নদশার টিনশেড ঘরে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের পাশেই পরিত্যক্ত পড়ে আছে পাকা ভবন। শিক্ষক মিলনায়তনসহ লাইব্রেরীর কার্যক্রম চলছে বিদ্যালয়ের খোলামাঠে টেবিল চেয়ার পেতে রয়েছে। বিদ্যালয়ের মালামাল রাখা হচ্ছে পরিচলানা পর্ষদের এক সদস্যের বাড়ীতে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রসুলবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করন হয়। শুরুর দিকের পাকা স্থাপনাটি পরিত্যাক্ত হওয়ার পরেও দুটি বছর ঝুঁকি নিয়ে সেখানেই চলে পাঠদান। পরবর্তীতে ২০১৫ এবং ২০১৭ সালের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা দিয়ে পাশেই তোলা হয়েছে ছোট দুটি টিনশেড ঘর। সেখানেই ৫জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দুই শিফটে পাঠদান দিচ্ছেন ১৯৮ জন শিক্ষর্থীকে। ধরে রেখেছন পিএসসিতে ৯৩ ভাগ পাশের হার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ আবু জাফর জানান, খুব কস্ট করে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গ্রীষ্মকালে টিনের চালের তাপে সিদ্ধ হতে হয়। বর্ষাকালে বৃস্টি থেকে বাঁচার জন্য উপায় খুঁজতে হয়। কক্ষ সংকটে রেজুলেশন করে পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্যের বাড়ীতে রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের মালামাল। খোলা আকাশের নিচে চলছে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের জন্য একটি ভবন বরাদ্দ হয়েছে। শুনেছি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছগির হোসেন বলেন, রসুলবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য তিন কিলোমিটার সড়কসহ একটি আধুনিক সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল ভবনের র্নিমানের দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সকল সুবিধা সম্বলিত এর নির্মাণ কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নাভানা গ্রুপ। ছয় মাস আগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসেছিল।
কিন্তু নদী উত্তাল থাকায় ভয়ে প্রকল্প এলাকায় না গিয়ই তারা ফিরে গেছে। শুনেছি তারা অন্য এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। আশা করছি খুব শীঘ্রই শুরু হবে ভবনের কাজ।
Leave a Reply